১৫ জুলাই ২০১৭ বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন-এর ২১ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

19884443_2001494006747114_6474843586282403640_n

বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন-এর ২১ দফা দাবিতে
সংবাদ সম্মেলন
স্থান: কনফারেন্স লাউঞ্জ, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা।
তারিখ: ১৫ জুলাই ২০১৭, শনিবার, সকাল-১১টা।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
অনেক কর্মব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য নৌ-যান শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি আন্তরিক অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বক্তব্যের শুরুতেই গাজিপুরের কাশিমপুরে অবস্থিত মাল্টি ফ্যাবস্ লিমিটেড কারখানায় বয়লার বিস্ফোরনে নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি গভীর শোক, আহতদের প্রতি সমবেদনাসহ সকল ধরণের দূর্ঘটনায় আহতদের প্রতি সহমর্মিতা এবং তথ্য অধিকার আইনের ৫৭ ধারায় গ্রেফতারকৃত সকল সাংবাদিকদের মুক্তি ও সাংবাদিকদের সংগ্রামের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি।

আপনারা জানেন, অনেক সংগ্রাম বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করার মধ্যদিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শ্রম পরিচালক মহোদয় নৌ-যান শ্রমিকদের জন্য একটা বেতন স্কেল ঘোষণা করেছেন। বাজার দরের সাথে তুলনা করলে এটা শ্রমিকদেরকে তেমন তৃপ্ত না করলেও বেতন বৃদ্ধির জটিলতা অতিক্রম করায় শ্রমিকরা অনেকটা আশ্বস্ত। এক্ষেত্রে যে সব জটিলতা ও চক্রান্ত আছে স্ব-স্ব জাহাজের শ্রমিকরা নিজেরাই সমাধা করে তাদের বেতন বুঝে নিচ্ছে। নৌ-যান শ্রমিকদের ঐ সময়ের আন্দোলন ছিলো ১৫ দফার আন্দোলন। বেতন তার মধ্যে ১টি দফা, বেতনের সাথে অন্যান্য ভাতা মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি এখনো নির্ধারিত হয়নি। আশাকরি ভবিষৎতে দ্বি-পাক্ষিক ও ত্রি-পাক্ষিক আলোচনার মধ্যদিয়ে আমরা এ বিষয়ে সমাধা করতে পারবো।

বন্ধুগণ,
জ্বালানী তৈলবাহী জাহাজ সমূহ বন্ধ করা প্রসঙ্গে আমরা আগেও আন্দোলন করেছি এখনো করছি। আমাদের বোধগম্য নয় যেখানে সরকারের নৌ-মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে পরিস্কার একটি সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। যেখানে ৪০ বছরের উর্ধ্বে বা নিম্নের জাহাজগুলোকে ৫ বছরের কিছু কাঠামো ও কারিগরি মডিফিকেশনের সময় সীমা দিয়ে চলাচলের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ-জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়াধীন বিপিসি ৪২টি ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং ১১টি বিআইডাব্লিউটিসি-এর তৈলবাহী জাহাজে বিপিসি কর্তৃক আমদানীকৃত তৈল পরিবহন বন্ধ করার পরিকল্পনা কার্যকর করে চলেছেন। উল্লেখ্য এ জাহাজগুলি আমদানী বা নির্মাণের পর থেকেই ঐ জ্বালানী তৈল পরিবহন করে আসছে এবং এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের জ্বালানী চাহিদার সিংহভাগই বিপিসি আমদানী করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে দেওয়া এই তৈলবাহী জাহাজগুলি নিরাপদে তৈল পরিবহন করে আসছে। ঐ সকল জাহাজে দীর্ঘদিন ধরে চাকরিরত দক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাদের বেতন-বোনাস নাই, জাহাজে বাংকার নাই, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, সুপেয় পানীয় জলের অভাবসহ নানাবিধ কষ্ট ছাড়াও পরিবার-পরিজন এবং জাহাজকে ঘিরে বিভিন্ন মহলও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ২৫-৩০ বৎসর ধরে চাকরি করা শ্রমিকদেও মাসিক বেতনই যেখানে মালিকরা দিচ্ছেনা সেখানে তাদের চাকরি অবসান হলে তার বেনিফিট, ঐসব শ্রমিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত না হলে শিল্পে যে সংকট সৃষ্টি হবে সেটা সরকার ও কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা দরকার ছিলো। আমরা এ বিষয়ে ২০১৫ সাল থেকেই আমাদের প্রতিক্রিয়া ও প্রতিকার দাবি করছি আর বিগত তিন মাস ধরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ জানিয়েই আসছেন। আমরা এর আশু প্রতিকার চাই।

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আপনারা জানেন, নৌ-শিল্প সহ সকল শিল্প ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে চলে বিকশিত হয় শ্রমিকের কঠোর পরিশ্রম আর রক্ত ঘাম ঝরানোর মধ্যদিয়ে। দেশ এগিয়ে চলে, বাণিজ্যের প্রসার ঘটে, শিল্প বিকশিত হয় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে নৌ-শিল্প। এই নৌ শিল্পের শ্রমিকদের মর্মবেদনা নানা মুখী নানা প্রকৃতির। একদিকে যে নৌ পথে আমরা চলি তার রয়েছে নাব্যতা সংকট, নৌ পথ অনুপাতে নৌ-যানের আকৃতি ও সংখ্যা দুটিই বেড়ে চলেছে ফলে চলার পথে দূর্ঘটনায় ঝুঁকি বাড়ছে, ঘাটে ঘাটে জাহাজ ভেড়ানো নিয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছে শ্রমিকরা। হাজার হাজার জাহাজ আর সার্ভেয়ার হচ্ছে সীমিত। তারপর নানাবিধ প্রভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ত্রুটি যুক্ত জাহাজও সার্ভে হয়ে যায়। এছাড়া সার্ভে বিহীন নৌ-যানও কম নয়। এই সেক্টরে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়ন। সামাজিক বিভিন্ন অবক্ষয়ের ছাপ এই শিল্পের মধ্যেও আছে। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের কোন দায় নাই একথা আমরা কখনো বলিনা। যার জন্য আমরা যখন বলি অনিয়ম-দূর্নীতি দূর করতে হবে তখন এটাও আমরা বুঝি কোন কোন শ্রমিক বাধ্য হয়ে সামাজিক এই অবক্ষয়ের আবর্তে ঘুরপাক খায়। কিন্তু পরিক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে সনদ পাওয়ার মধ্যে এবং জাহাজ সার্ভের ক্ষেত্রে গাফিলতি সম্পদ ও জীবন দুটির জন্যই মারাত্মক হুমকির বিষয়। সেকারণে এ বিষয়ে আমাদের লড়াইটাও তাই অব্যাহত। আমরা প্রায় দুই যুগ ধরে লড়ছি। কখনো কখনো কিছু পরিত্রাণ হলেও এই মরণব্যাধি ছাড়ছেনা। এ ধরণের প্রবণতা যদি বন্ধ না হয় তাহলে সাময়িক লাভ ও লোভে এই শিল্পের ধ্বংশ ডেকে আনবে।

আমরা সব সময়ে দাবি করে এসেছি মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করা হোক। কিন্তু দেখা যাবে এক্ষেত্রে বাস্তবায়নকারী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ প্রায় সব ক্ষেত্রেই নিস্কৃতি পেয়ে যান অথবা নূূন্যতম শাস্তি ভোগ করেন। আর নানাভাবে হয়রানীর শিকার হয় নৌ-যানের শ্রমিকরা। অধিদপ্তরে সকল ধরণের অনিয়ম, দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইটাও দীর্ঘদিনের।

বাংলাদেশের সাথে ভারতের প্রটোকল চুক্তির অধীনে তিন শতাধিক নৌ-যান ভারত-বাংলাদেশের ভিতর চলাচলা করে। এ ছাড়া ট্রান্সিপমেন্ট এবং বন্দর থেকে বন্দরে কন্টেইনার প্রটোকল চুক্তিও সম্পাদন হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা হচ্ছে, দেশ লাভবান হচ্ছে হয়রানীর শিকার হচ্ছে শ্রমিকরা। আমাদের যে জাহাজগুলি ভারতে যায় তার কোনটিতেই ফ্রিজ নাই তাই দৈনন্দিন বাজার করতে নামতে হয়। চিকিৎসা অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে জাহাজ থেকে নামতে হয়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বা এজেন্টরা পর্যাপ্ত ল্যান্ডিং পাশের ব্যবস্থা করে না আবার যে সম¯Í কাগজপত্র বাংলাদেশ থেকে দেওয়া হয় সেগুলো ভারতের পুলিশ বিবেচনা করেনা, কিন্তু বা¯Íব প্রয়োজনে নামতে হয় নামেও। হঠাৎ হঠাৎ অজ্ঞাত কারনে পুলিশ এদের আটকায় আবার তদবির করলে কাউকে কাউকে ছেড়ে দেয়। গত ২২/০৩/২০১৭ ইং তারিখে পশ্চিম বাংলার হলদিয়া পোর্ট সংলগ্ন দুর্বাচক থানাধীন এলাকায় স্থানীয় বাজার আকাশ গঙ্গা কমপ্লেক্সে কেনা কাটা করে ফেরার সময় টহল পুলিশ অজ্ঞাত ফোন কল পেয়ে ৮ জন শ্রমিককে গ্রেফতার করে এবং ১৪/সি (ফরেনার্স এ্যাক্ট) মামলা দিয়ে ২৩/০৩/২০১৭ ইং তারিখে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালেও এখনো পর্যন্ত ঐ সকল কারাবন্দী নৌ-শ্রমিকদের মুক্তির ব্যবস্থা হয়নি। বিদেশে কারাগারে আটক এর ফলে তাদের পরিবার-পরিজনও আর্থিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। জানিনা আমাদের সরকারের সংশিøষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষ কি এতই দূর্বল যে সাড়ে তিন মাস সময় অতিবাহিত হলেও আমাদের শ্রমিকরা বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হিসাবে ঐ সকল জাহাজের শ্রমিক হিসাবে কর্তৃপক্ষের বৈধ কাগজ নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ভারতের জেলে মাসের পর মাস জেল খাটবে এটা কি কোনভাবে মেনে নেওয়া যায়? গ্রেফতারের পরপরই শ্রমিকরা ভারত লাইনে জাহাজ নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানালে আমরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত রাখি কিন্তু এখনতো আমাদের কাছে আর কোন জবাব নেই। এবার আসি আমার প্রিয় বাংলাদেশে গত ২৭/১১/২০০৯ ইং তারিখে কোকো লঞ্চ ঢাকার ঘাট থেকে যাত্রী বোঝায় করে নিয়ে যায়, পথে দেওলা ও দেবীরচর ঘাটে যাত্রী নামিয়ে জাহাজ চালিয়ে যাওয়ার পথে বুঝতে পারে জাহাজের তলায় পানি ঢুকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নাজিরপুর ঘাটের নদী বন্দরে পানির গভীরতা বেশি সেখানে নিমজ্জিত হলে যাত্রীরা বিপদে পড়তে পারে বিবেচনা করে মাস্টার জাহাজ অপেক্ষাকৃত অগভীর নদী তীরে বার্দিং করে। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে সবাই একদিকে নামার জন্য লাফ দিলে লঞ্চটি কাত হয়ে যায়, সম্ভবত যারা আগেই লাফিয়ে পড়েছিলেন অথবা অন্য কোন ভাবে ৮১ জন যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। যার জন্য আমরা ব্যাথিত। এই জাহাজ দূূর্ঘটনায় মামলা হয় এবং তদন্ত অন্তে বিচার কার্যও সম্পন্ন হয়। বিচারে উক্ত জাহাজের মাস্টার সামছুল হক ও ড্রাইভার মাকসুদ মিয়াসহ ৮ জন শ্রমিককে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। আদালতকে সম্মান জানিয়ে আমরা তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া না জানালেও আমাদের বোধগম্য নয় আদালতের এই রায়ে মেরিন আইন বা প্রকৃত অবস্থাটা বিবেচনায় আনা হয়েছে কি না? ২৫/০৪/২০১৭ ইং তারিখ রায় ঘোষণার পর থেকে উক্ত ৮ জন নৌ-শ্রমিক জেল খাটছেন তাদের গরিব পরিবার-পরিজনও সীমাহীন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা জেনেছি জাহাজটি যাত্রার দিন নির্ধারিত ছাড়ার সময় সন্ধ্যা ৭টা হলেও লঞ্চটি নির্ধারিত সময়ের ৯ ঘন্টা পূর্বেই ঘাট ছেড়ে যায়। ঐ জাহাজ সম্পর্কে আমাদের মনে যে সব প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে তা হলো ঐ জাহাজটি সার্ভে করার সময় সার্ভেয়ার তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছিলেন কি না? ঐ জাহাজের ফিটনেস দেখে রূট পারমিট দেওয়া হয়েছিল কি না? সর্বশেষ ওভার লোডিং ঐ ধরণের একটি জাহাজকে ঐ সময়ে ঘাট ত্যাগ করার অনুমতি যারা দিলেন তারা তাদের দায়িত্ব পালনে কতটা আইন মানতে পারলেন? সর্বোপরি ঐ জাহাজের মালিকপক্ষ ত্রুটিপূর্ণ এ ধরণের একটি জাহাজে অতগুলো যাত্রী পরিবহনে শ্রমিক-কর্মচারীদের কিভাবে বাধ্য করলেন।

নৌপথে নব্যতা, নিরাপত্তা আমাদের চলমান দাবি। কর্ণফুলী ও মংলা সমুদ্র বন্দর এলাকায় জাহাজ রাখা এবং দূর্ঘটনায় কোন শ্রমিক আহত হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কর্ণফুলীর সাগর মুখে ও মংলায় হারবারিয়া এলাকায় নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক মুরিং-বয়া অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন।

নৌপথে চাঁদাবাজী, ডাকাতী, জলদস্যুতা, বালু মহালে চর ইজারাদারদের দ্বারা শ্রমিকদের নিগৃহীত হওয়া রোধ কল্পে আরো উন্নত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আমরা জরুরিভাবে সমাধানের জন্য ২১ টি বিষয় চিহ্নিত করে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকল মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহ এবং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই অবহিত করেছি। গত ৯ জুলাই জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে এবং ১২ জুলাই সরাসরি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে আমাদের আকুতি জানিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস আগামী ২৩ জুলাই ২০১৭ ইং তারিখের মধ্যে সরকার ও সংশিøষ্ট কর্তৃপক্ষ বন্ধ জ্বালানী তৈলবাহী জাহাজ চালু ও শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান, ভারতের কারাগারে অন্তরীণ ৮ জন নৌ-যান শ্রমিক ও বাংলাদেশের কারাগারে অন্তরীণ ৮ জন নাবিকের মুক্তিসহ ২১ দফায় উল্লেখিত সমস্যাদি আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়গুলি সমাধান করে এই সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত সকলকেই স্বস্তিতে থাকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অন্যথায় ২৩ জুলাই মধ্যরাত ১২-০১ মিঃ অর্থাৎ ২৪ জুলাই ’১৭ থেকে তৈলবাহী, পণ্যবাহী, বালুবাহী, যাত্রীবাহীসহ এক কথায় সকল ধরণের ব্যক্তি মালিকানাধীন নৌ-যানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে দাবি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে অগ্রসর করতে বাধ্য হবে। যার জন্য নৌ-যান শ্রমিকদেরকে কোনভাবেই দায়ী করা চলবে না।

প্রিয় প্রিন্টস ও ইলেক্ট্রনিক্সসহ সকল মিডিয়ার সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আমরা আশাকরি আপনাদের প্রচার মাধ্যমে আমাদের দাবি ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরে দেশবাসীকে আমাদের দাবির ন্যায্যতা ও আন্দোলনের যৌক্তিকতা বুঝতে সহায়তা করবেন। আমরা আশাকরি দেশের শ্রমজীবি মানুষসহ সকল স্তরের জনগোষ্ঠি আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে নৌ-যান শ্রমিকদের সহায়তা করবেন।
পরিশেষে আপনাদের প্রতি আবারো আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আমাদের বক্তব্য শেষ করছি।

ধন্যবাদান্তে
চৌধুরী আশিকুল আলম
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন
মোবাইল নং-০১৭১১১৩৫৪০৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *