সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনায় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করুন।
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের নামে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গ্রামের পর গ্রামের জনবসতি উচ্ছেদ এবং সংলগ্ন এলাকার স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।
আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা এবং শাসক-শোষক গোষ্ঠীর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব-সংঘাতের বিরুদ্ধে বিপ্লবী বিকল্প ধারা প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলুন।
সংগ্রামী সাথী ও বন্ধুগণ
অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আপনারা জানেন সাম্রাজ্যবাদের দালাল মহাজোট সরকার অবশেষে সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়ার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার রূপপুর ১০০০ মেগাওয়াট শক্তি সম্পন্ন ২টি পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এইখানে ষাটের দশকে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার রূপপুর গ্রামকে অধিগ্রহণ করে গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ করে। এ জন্য তারা নতুন রূপপুর গ্রাম গঠন করে বেশকিছু পরিবার পুনর্বাসন করলেও অনেক পরিবারই উদ্বাস্ত হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত অধিগ্রহণকৃত রূপপুরে বিদেশিদের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভানে সামনে আসে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু করার পূর্বে প্যাক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ ছাড়াই জনগণকে কার্যত অন্ধকারে রেখে আন্তর্জাতিক পারমানবিক শক্তি সংস্থার নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে মহাজোট সরকার যে কোন মূল্যে এ প্রকল্প সম্পন্ন করতে মরিয়া। বর্তমান সময়ে দেশের শিল্প, কৃষিসহ উৎপাদনের সকল ক্ষেত্রে এবং জনজীবনের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য। দেশ ও জনগণের চাহিদা পূরণের ক্রমাগত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করা যায় না । তবে তা জনজীবন ও প্রকৃতির ক্ষতি করে এবং বিপর্যয় ঘটিয়ে উৎপাদন করা মেনে নেওয়া যায় না।
মৌলিক পদার্থের ক্ষদ্রতম কণা পরমাণু থেকে যে শক্তি পাওয়া যায়, সেটাই পারমাণবিক শক্তি। এ শক্তি যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে বোমা বানিয়ে সভ্যতার ধ্বংস করা এবং শান্তিপূর্ণ কাজে দু’ভাবেই ব্যবহার করা যায়। বর্তমান বিশ্বে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার স্বীকৃত হলেও, তাতেও থাকে সমস্যা ও বিপদের আশঙ্কা। পরমাণু থেকে শক্তি উৎপাদনে দু’টি প্রক্রিয়া সামনে থাকলেও বর্তমানে ফিশন প্রক্রিয়ায় পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন হয়। এই ফিশন প্রক্রিয়ায় পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যাপক পানি প্রয়োজন হয়। সে জন্য সাধারণত পানির উৎস সংলগ্ন নিরাপদ এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ হয়ে থাকে। পাকিস্তান আমলে সেই কারণে পদ্মা নদীর অবাধ প্রবাহ সংলগ্ন রূপপুরে এ প্রকল্পের স্থান নির্বাচন করার কথা হয় কিন্তু ভারত সরকার ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে উজানে পানি ব্যবহারের কারণে ভাটির দেশ বাংলাদেশের পদ্মা নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত হয়। তাই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উপযুক্ত স্থান হতে পারে না। এতদ্বসত্ত্বেও মহাজোট সরকার পদ্মা নদীতে ব্যারেজ নির্মাণের প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষিকাজে সর্বাত্মক সেচ ব্যবস্থা এবং উপযুক্ত অঞ্চলে লবণাক্ততা কমানোর কথা বললেও, এই প্রকল্পের পিছনে যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দিক রয়েছে তা সচেতন জনগণের বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা না। পারমাণবিক শক্তি চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র শতভাগ নিরাপদ নয়। তাই তা নির্মাণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। সেজন্য এ প্রকল্প জনমানবশূণ্য এলাকায় গড়ে তোলা হয়। পারমাণবিক বিদ্যুতের ব্যবহার উন্নত পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশী। তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে অনেক দেশেই পরমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনা ঘটার ইতিহাস রয়েছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ ২০১১ সালে সংঘটিত জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনা ও বিপর্যয়। এ সকল দুর্ঘটনায় ব্যাপক হতাহত সহ দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে তার রেশ টানতে হয়। তাই ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পর জাপান, জার্মানীসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ না করা এবং চালু প্রকল্পগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার দিকটি আলোচিত হয়। একটি ২৫০-৫০০ মেগাওয়াট শক্তি সম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রথমে ২.৪ কি.মি. ব্যাসার্ধ এলাকার পরে ৫ কি.মি. ব্যাসার্ধ এলাকা জুড়ে জনমানব শূণ্য করতে হয়। তারপর ১৬ কি.মি. এলাকা ব্যাসার্ধ জুড়ে ১০ হাজারের বেশী জনসংখ্যার বসতি রাখা যায় না। আরো ৫ কি.মি. পরি ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের উপর বসতি থাকবে না। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার নির্ধারিত এই নিয়ম অনুযায়ী রূপপুরে ১০০০ মেগাওয়াট শক্তি সম্পন্ন ২টি কেন্দ্র নির্মাণে কি পরিমাণ জমি মহাজোট সরকারকে অধিগ্রহণ করতে হবে তা সহজে অনুমান করা যায়। সরকার এই পদক্ষেপ কার্যকরী করলে প্রকল্প এলাকার ৮ কি.মি. ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার গ্রামের পর গ্রাম উচ্ছেদ করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভিটেমাটি উচ্ছেদসহ পাবনা, নাটোর ও কুষ্টিয়া জেলা ব্যাপী প্রায় ৩০ কি.মি. ব্যাসার্ধের বিশাল অঞ্চলের প্রায় অর্ধ কোটি মানুষকে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে।
পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার চলমান অতি উৎপাদন সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ২০০৮ সাল থেকে মন্দায় নিমজ্জিত হয়ে ৭ বছরে পড়লেও তা থেকে পরিত্রান না পেয়ে মহামন্দার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রানে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো পুঁজি ও শক্তির অনুপাতে বাজার ও প্রভাব বলয় পুনর্বন্টন ও সর্বোচ্চ মুনাফার লক্ষ্যে দেশে দেশে লগ্নিপুঁজি বা একচেটিয়া পুঁজির বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত। এ প্রেক্ষিতে চলছে বাণিজ্যযুদ্ধ, মুদ্রাযুদ্ধ, আঞ্চলিকযুদ্ধ এবং বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি। এ প্রেক্ষাপটে নয়াউপনিবেশিক আধাসামন্তবাদী দেশগুলোতেও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতা চলছে। বাংলাদেশের রূপপুর প্রকল্পসহ নয়াউপনিবেশিক ভারতে কুডানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভারত সফরকালে আরো ১০টি প্রকল্প স্থাপন চুক্তি উল্লেযোগ্য। আবার ভারতের পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য সাম্রাজ্যবাদী জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চুক্তি তারই প্রতিফলন। দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান আঞ্চলিক শক্তি ভারতকে কেন্দ্র করে এতদ্বাঞ্চলে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব সুতীব্র। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মার্কিনের প্রাধান্য থাকলেও সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়া ও পুঁজিবাদী চীনের শক্তি ও প্রভাব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থল সংযোগ সেতু এবং প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরের সংযোগকারী মালাক্কা প্রণালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরীয় দেশ হওয়ায় ভূ-রাজনৈতিক ও রণনীতিগত গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশকে নিয়েও আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব তীব্রতর। এতদ্বাঞ্চলকে নিয়ে মার্কিনের ইন্দো-প্যাসিফিক করিডোর; জাপানের বে অফ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি); চীনের বিসিম অর্থনৈতিক করিডোর ইত্যাদি পরিকল্পনা ও তৎপরতা রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশকে তার যুদ্ধ পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করতে চায়। এ অবস্থায় বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিনের নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে মহাজোট সরকারের টানাপোড়েন বৃদ্ধি পায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচারী সরকার ভারতের সাথে সমন্বিত হয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য ভারতের অনুরূপ পদক্ষেপ নিয়ে চলছে। সাম্রাজ্যবাদের দালাল বিরোধী দল বিএনপি’র নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট জনজীবন ও জাতীয় জীবনের সমস্যাকে আড়াল করে প্রভুর আর্শীবাদ নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সামনে এনে আন্দোলনের কথা বলেছে। তাই আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে শাসক-শোষক গোষ্ঠীর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, সংঘাতের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে চলেছে।
বন্ধুগণ
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের আরো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকাসহ তিনটি জেলার বসতি উচ্ছেদ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে তা নয়, বরং পদ্মার পানি প্রবাহ সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে পদ্মার পানি প্রবাহ এলাকা জুড়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ একটি নয়াউপনিবেশিক আধাসামন্তবাদী দেশ এবং মহাজোট সরকার সাম্রাজ্যবাদের দালাল হওয়ায় বর্তমান সরকার প্রভু সাম্রাজ্যবাদ ও তার এ দেশীয় দুই দালাল সামন্তবাদী জোতদার, মহাজোন এবং আমলা, দালাল পুঁজির স্বার্থ রক্ষা করে চলছে। মহাজোট সরকার দেশের জনগণের জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প; ভারতকে বিদ্যুৎ করিডোর; সড়ক, রেল ও নৌ ট্রানজিটের নামে করিডোর; বিদ্যুৎ আমদানির নামে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রীড লাইনকে ভারতের জাতীয় গ্রীড লাইনে অন্তর্ভূক্ত করা; সমুদ্র ও নৌ বন্দরসহ নৌ পথের অবাধ ব্যবহার ইত্যাদি পদক্ষেপ নিয়ে চলছে। আজ তাই মহাজোট সরকারের রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পসহ গণস্বার্থ ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সকল পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সকল সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও সর্বাত্মক আন্দোলন। এ জন্য সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সকল শক্তি, গোষ্ঠী, ব্যাক্তিকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষকের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজ ব্যবস্থা। যে সরকার দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে দেশের আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের চাহিদা সহ সকল চাহিদা পূরণ করবে। আসুন মুক্তির সেই লক্ষ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করে অগ্রসর হই। পথ আঁকাবাঁকা কিন্তু জনগণের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।
তাং-০৩/০১/২০১৫
সাংগ্রামী অভিনন্দনসহ
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)
ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটি, পাবনা।