৭ নভেম্বর মহান রুশ বিপ্লবের শততম বার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে বিকাল সাড়ে ৩ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে লাল পতাকাসহকারে বর্ণাঢ্য র্যালী ও সাড়ে ৪ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা

07-11-2017

তারিখঃ ০৭/১১/২০১৭  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বিশ্বের দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী অন্যায় আগ্রাসন, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্ব শ্রমিক শ্রেণী, নিপীড়িত জাতি ও জনগণের গণতান্ত্রিক এবং বিপ্লবী সংগ্রামকে অগ্রসর করার আহ্বান জানিয়ে রুশ বিপ্লবের শততম বার্ষিকী পালিত

মহান রুশ বিপ্লবের শততম বার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে বিকাল সাড়ে ৩ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে লাল পতাকাসহকারে বর্ণাঢ্য র‌্যালী শুরু হয়ে বিভিন্ন রাজপথ প্রদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলটি ‘মহান রুশ বিপ্লব অমর হউক, শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল কর, সকল রূপের সংশোধনবাদ-সুবিধাবাদ ধ্বংস হোক নিপাত যাক’ সহ নানা শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। পরবর্তী কর্মসূচী অনুযায়ী বিকাল সাড়ে ৪ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনাসভার শুরুতে সম্মিলিত কণ্ঠে আন্তজার্তিক সঙ্গীত গাওয়া এবং শোষণ মুক্তির সংগ্রামে এ পর্যন্ত যে সকল বন্ধুরা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট শোক-নিরবতা পালন করা হয়। এরপর উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. এম.এ করিম’র সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন শ্রমিক আবুল হোসেন, খলিলুর রহমান খান, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিলেট বারের সাবেক সভাপতি এ্যাড. ইইউ শহীদুল ইসলাম শাহীন, সামছুজ্জোহা, চৌধুরী আশিকুল আলম, ওয়ারেস আহম্মেদ মুকুল, ডাঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন, শহীদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন মোখলেস উজ্জামান। আলোচকবৃন্দ বলেন, পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থায় চলমান মন্দা-মহা মন্দার দিকে ধাবিত হওয়ায় মন্দা থেকে উদ্ধার পেতে বাজার প্রভাব বলয়, পুনর্বণ্টন নিয়ে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে যে যুদ্ধ প্রস্তুতি অগ্রসর হচ্ছে তা মোকাবেলা করতে গেলে মহান রুশ বিপ্লবের অজেয়-অমর শিক্ষা ও দিক নির্দেশনা সামনে রেখে অগ্রসর হতে হবে। বিপ্লব তথা শ্রমিক শ্রেণী ও জনগণের বিরুদ্ধে সংশোধনবাদী-সুবিদাবাদীরা আজ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে যে ভূমিকা গ্রহণ করে চলেছে তারও প্রকৃত স্বরূপ উম্মোচন করে বিপ্লবী বিকল্প ধারা অগ্রসর করতে হবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বলশেভিক পার্টির গঠন প্রক্রিয়া থেকে সকল রূপের সংশোধনবাদ-সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে পার্টি গড়ে উঠেছিল। আমাদের দেশের সংশোধনবাদীরা আজ একত্রিত হয়ে মাসব্যাপী যে কর্মসূচী পালন করছে তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণীর নের্তৃত্বে, শ্রমিক শ্রেণীর একনায়কত্ব ও মহান কমরেড স্টালিনের অবদানকে অস্বীকার করে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ পথে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের হালুয়া রুটির অংশীদার হওয়া।

মহান রুশ বিপ্লবের এই প্রেক্ষাপটে সমকালীন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরিস্থিতিতে একদিকে বিশ্বের দেশে দেশে বিশেষ করে পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোতে অর্জিত অধিকার কর্তন ও সংকটের বোঝা জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া এবং সংকট মোকাবেলায় ফ্যাসিবাদের দিকে অগ্রসর হওয়ার দিকটি সামনে আসছে। আর আমাদের মত নয়াউপনিবেশিক দেশগুলোতে শোষণ-লুন্ঠনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করতে গিয়ে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের ওপর নির্মম শোষণ ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদী পথ ধরে সকল ধরনের প্রতিবাদ ও তাদের স্বার্থে যতটুকু অধিকার ছিলো তাও আজ হরন করে চলেছে। অন্য দিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থল সংযোগ সেতু বঙ্গোপসাগরীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতি ও রণনীতিগত গুরুত্বের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসীযুদ্ধের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে সাম্রাজ্যবাদের দালাল ক্ষমতাসীন মহাজোট ও বিএনপি’র নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে রুশ বিপ্লবের শিক্ষাকে সামনে রেখে বিশ্ব সর্বহারা শ্রেণী, নিপীড়িত জাতি ও জনগণের বৈপ্লবিক সংগ্রাম অগ্রসর করা এবং পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ও নয়াউপনিবেশিক ব্যবস্থা উচ্ছেদ সাধন করার প্রয়োজনীয় সামনে রয়েছে। রুশ বিপ্লবের শততম বার্ষিকীতে এই শিক্ষাকে শ্রমিক শ্রেণী ও জনগণকে সামনে রেখে অগ্রসর হতে হবে।

বার্তা প্রেরক

প্রকাশ দত্ত

সদস্য

উদ্যাপন কমিটি

০১৯২৪০৪৮১৩৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *