২২ ডিসেম্বর কমরেড আবদুল হক-এর ২২তম ও ২৮ ডিসেম্বর কমরেড হেমন্ত সরকার-এর ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করুন

leaflet-1

২২ ডিসেম্বর কমরেড আবদুল হক-এর ২২তম ও ২৮ ডিসেম্বর কমরেড হেমন্ত সরকার-এর ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করুন

শ্রমিক-কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হউন।

সংগ্রামী সাথী ও বন্ধুগণ,

সংগ্রামী অভিনন্দন গ্রহন করুন। আগামী ২২ ডিসেম্বর কমরেড আবদুল হক এর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯২০ সালের ২৩ডিসেম্বর যশোর জেলার সদর থানার খড়কিতে জন্মগ্রহণ করেন। সামন্তবাদী পীর পরিবার থেকে আগত হলেও তিনি যখন কলকাতায় পড়াশুনা করতেন সেই ছাত্রাবস্থায় তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন এবং শ্রমিক এবং

শ্রমিক শ্রেণীর মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বৈপ্লবিক কর্মকান্ড শুরু করেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতিতে বি.এ অনার্স পড়ার সময় তিনি ১৯৪১ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী সভ্যপদ লাভ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি পার্টির রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিচালিত ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট ফেডারেশনের বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ ভর্তি হলে তিনি পার্টির ডাকে সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

১৯৪১ সালে যশোর জেলার বনগাঁয়ে তৃতীয় কৃষক সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এই সম্মেলনে “লাঙ্গল যার জমি তার” এবং ঐতিহাসিক তে-ভাগা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যশোর জেলার কৃষকের তে-ভাগা আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দানকারীর ভূমিকা পালন করেন। পাকিন্তান আমলে তিনি ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পুর্ব পাকিস্তান কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বৃটিশ আমল, পাকিস্তান আমল ও বাংলাদেশের সময়কালে তিনি অনেক আন্দোলন প্রত্যক্ষভাবে গড়ে তোলেন ও অংশ নেন- যেমন: ছাত্রজীবনে ১৯৩৯ সালে হলওয়েল মনুমেন্ট ভাঙ্গার আন্দোলন, ১৯৪৩ সালের মহা মন্বন্তরে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো, ১৯৪৪ সালে হাট তোলা বিরোধী আন্দোলন, ১৯৪৬ সালে তে-ভাগা আন্দোলন, ১৯৫০ সালে রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ড আন্দোলন, বিভিন্ন কৃষক আন্দোলনসহ ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন ও গণঅভ্যূত্থান এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী আন্দোলন ইত্যাদি। এই সামগ্রিক সময়কালে তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনে অগ্রণী বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। কমিউিনিষ্ট আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি সংশোধনবাদের সকল প্রকাশের বিরুদ্ধে মতাদর্শগত সংগ্রাম চালিয়ে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের লাল পতাকা সমুন্নত রেখেছেন। তিনি ক্রুশ্চেভ-ব্রেজনেভ-গর্বাচেভ মার্কা, তিন বিশ্ব তত্ত্ব ও মাও-সেতুং চিন্তাধারা মার্কা সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে এদেশ তথা উপমহাদেশে মতাদর্শিক সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্বকারী ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় ক্ষেত্রে আলাউদ্দিন-দেবেন শিকদারদের কৃষিতে ধনবাদ, সুখেন্দু দস্তিদার-তোহাদের উগ্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী অবস্থান ও জিয়াউর রহমানকে ‘দেশপ্রেমিক সরকার’ ও সত্য মৈত্রী-ইদ্রিস লোহানীদের জিয়াউর রহমানকে ‘জাতীয় সরকার’ চিহ্নিত করার ডান সুবিধাবাদী-সংশোধনবাদী অবস্থান থেকে, জাসদের ট্রটস্কিবাদী বাম হটকারী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের লাল পতাকাকে উর্ধ্বে তুলে ধরে বাংলাদেশে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষকের মৈত্রীর ভিত্তিতে সাম্যবাদ-সমাজতন্ত্রের লক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল করার সঠিক লাইন তুলে ধরে অগ্রসর করতে ভূমিকা গ্রহণ করেন। দশটি গ্রন্থের সমন্বয়ে কমরেড আবদুল হক গ্রন্থাবলী ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও শতাধিক প্রবন্ধ তিনি রচনা করেছেন। সুদীর্ঘ ষাট বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে পঁচিশ বছরই তাকে আত্মগোপনে কাটাতে হয়। ২২ ডিসেম্বর ১৯৯৫ শুক্রবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত অসুস্থ্যতায় কমরেড আবদুল হক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

অপর কমরেড হেমন্ত সরকার ১৯৯৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ৮২ বছর বয়সে নড়াইলে মৃত্যুবরণ করেন। কমরেড হেমন্ত সরকারের বিপ্লবী জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায় ১৯১৬ সালে নড়াইল জেলার সদর থানার বড়েন্দার গ্রামে এক গরীব কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শ্রমিকশ্রেণীর বিপ্লবী রাজনীতি ও কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সম্পর্কিত হন ১৯৪০-এর দিকে এবং ১৯৪২ সালে পার্টি সভ্যপদ লাভ করেন। ঐতিহাসিক তে-ভাগা আন্দোলনে তিনি দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখেন। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে গ্রেপ্তার হয়ে পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত বন্দী জীবন কাটান। ৬০ এর দশকে বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনে ক্রুশ্চেভ সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তিনি দৃঢ় ভূমিকা রাখেন। এ প্রেক্ষাপটে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) এর যশোর জেলা পার্টি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখেন এবং যশোর জেলা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের লাইন গৃহীত হলে তিনি তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন এবং ১৯৭১ সালে পার্টি পরিচালিত বিপ্লবী যুদ্ধে তিনি নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা পালন করেন। উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদী অবস্থানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কমরেড আবদুল হকের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের প্লেনামে তিনি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৫ সালে ৫ম কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পুনঃনির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৮০ সালে সংশোধনবাদী তিন বিশ্ব তত্ত্ব বিরোধী সংগ্রামে দৃঢ় ভূমিকা পালন করেন এবং ১৯৮৩ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) এর ৬ষ্ঠ কংগ্রেসে কন্ট্রোল কমিশনের সভ্য নির্বাচিত হন এবং কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

এর পর পরই ১৯৮৪ সালে তিনি পুণরায় গ্রেপ্তার হন। ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত ৭ম কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পূণঃনির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ৮ম কংগ্রেসে তিনি কন্ট্রোল কমিশনের সভ্য নির্বাচিত হন এবং কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। নবম কংগ্রেসের প্রায় পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। নবম কংগ্রেসে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ও অন্যান্য কারণে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সংগঠনে থাকেন না এবং পার্টির সভ্য হিসেবে মৃত্যুবরণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব জয়যুক্ত করার জন্য ব্রিটিশ আমল থেকে তাঁর সংগ্রামী ভূমিকা, অধ্যবসায়, ত্যাগ-তিতিক্ষার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক অবদান থেকে সকল প্রগতিশীল বিপ্লবী, গণতান্ত্রিক ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নেতা-কর্মীদের গভীরভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

সংগ্রামী বন্ধুগণ

আজ যখন আমরা কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা কমরেড আবদুল হক ও কমরেড হেমন্ত সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছি তখন বাংলাদেশ এক গভীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক তথা সামগ্রিক সংকটে নিমজ্জিত। চাল, লবন, পেঁয়াজ, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, পুনরায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে পণ্যসামগ্রী, যানবাহনের ভাড়া, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে জনজীবনকে আরো বিপর্যস্ত করছে। শ্রমিক বাজারদরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মজুরি না পেয়ে; বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক দ্বিতীয় দফায় উৎপাদন করতে পুনরায় ঋণগ্রস্থ ও উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে বিপর্যস্ত; শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ, ভর্তি বাণিজ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁস, দূর্নীতি, শিক্ষাঙ্গনে দলীয় সন্ত্রাস; খুন-গুম-অপহরণ; নারী ধর্ষণ-নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার; সরকার দলীয় সন্ত্রাস, পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস; মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ; সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যম কালা-কানুন করে নিয়ন্ত্রণ; শহর-গ্রামে সর্বত্র মাদকের ছড়াছড়ি ইত্যাদি সর্বাত্মক করে চলেছে। মহাজোট সরকার স্বৈরতন্ত্রকে তীব্রতর করে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নেতৃত্বকারী বিপ্লবী ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল সামন্ত-আমলা-মুৎসুদ্দি বুর্জোয়া শ্রেণির স্বার্থ রক্ষাকারী মহাজোট সরকারের নির্মম শোষণ-লুণ্ঠন ও স্বৈরাচারি শাসনের বিরুদ্ধে আজ প্রয়োজন শ্রমিক-কৃষক-জনগণের জরুরি সমস্যা ও দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামকে বেগবান করা। এ ক্ষেত্রে অতীতের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল বুর্জোয়া শ্রেণির লেজুড় সংশোধনবাদী-সুবিধাবাদীরা এই মূল কাজকে আড়াল করে উগ্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের অবস্থান থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ’র স্বপক্ষের শক্তির ঐক্যের শ্লোগানকে সামনে রেখে মহাজোট সরকারের লেজুড়বৃত্তি করে চলেছে। ১৯৯১ সালে ক্রুশ্চেভ-ব্রেজনেভ-গর্বাচেভ মার্কা সংশোধনবাদীরা বিপর্যস্ত হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট পার্টিকে বিলোপ করে। ১৯৫৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপে ক্রুশ্চেভ সংশোধনবাদীরা পুঁজিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে সমাজতন্ত্রের নামাবলী গায়ে দিয়ে চলে এবং ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদে পরিণত হয়ে পরাশক্তি হিসেবে আগ্রাসন তৎপরতা চালায়। এ প্রক্রিয়ায় ১৯৯১ সালে পুঁজিবাদের উলঙ্গ প্রকাশ ঘটে। আবার চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ১৯৪৯ সালে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব করলেও তাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সফল না করায় চীনেও সংশোধনবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা বর্তমানে রুশ ফেডারেশনের কমিউনিস্ট পার্টি, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, ভিয়েতনামের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন দেশের রুশ ও চীনপন্থী সংশোধনবাদী পার্টিগুলো কমিউনিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিসমূহের আন্তর্জাতিক অধিবেশন করে (IMCWP) চীনকে সামনে রেখে ভিয়েতনাম, উত্তর কোরিয়া ও কিউবাকে সমাজতান্ত্রিক আখ্যায়িত করে যে ডান সুবিধাবাদী সংশোধনবাদী ধারা সামনে আনছে তাদের এদেশীয় দোসর ওয়ার্কার্স পার্টি ও সিপিবি এবং তাদের নেতৃত্বে তথাকথিত বামপন্থীদের ঐক্যের তৎপরতা এদেশের শ্রমিকশ্রেণির বিপ্লবী সংগঠন ও সংগ্রাম তথা প্রকৃত বাম আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্থ করার ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।

এমতাবস্থায় নয়াউপনিবেশিক-আধাসামন্তবাদী বাংলাদেশে তিন শত্রুর বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে শ্রমিক-কৃষকের মৈত্রীর ভিত্তিতে সাম্যবাদ-সমাজতন্ত্রের মূল লক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল করার ক্ষেত্রে অন্যতম বাঁধা হচ্ছে উল্লেখিত সংশোধনবাদীরাসহ সকল রূপের সংশোধনবাদ। ২০১৭ সালে আমরা যখন কমরেড আবদুল হক ও কমরেড হেমন্ত সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছি- এ বছরই হচ্ছে মহান অক্টোবর বিপ্লবের শততম বার্ষিকী। আমাদের দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের মহান নেতৃদ্বয় অক্টোবর বিপ্লব তথা মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মহান শিক্ষাকে সামনে রেখে বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনের অংশ ও অধীন হিসেবে এদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনে সুবিধাবাদ ও সংশোধনবাদের সকল প্রকাশের বিরুদ্ধে যে আপসহীন মতাদর্শিক সংগ্রাম পরিচালনা করে লক্ষ্য অর্জনে অবিচল থেকেছেন সেই শিক্ষাকে সামনে রাখতে হবে। তাই আজ আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সংশোধনবাদের উল্লেখিত প্রকাশসহ সকল রূপের সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল করার লক্ষে আপসহীন ধারাবাহিক সংগ্রাম পরিচালনা করা। আসুন, শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, মধ্যবিত্ত জনগণ এবং দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই, গড়ে তুলি সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন।

সংগ্রামী অভিনন্দনসহ

আব্দুল হক

সভাপতি

হাফিজুর রহমান

সাধারণ সম্পাদক

জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, যশোর জেলা শাখা

৫৮, সমবায় ব্যাংক মার্কেট ভবন (৩য় তলা) পাইপপট্টি, যশোর-৭৪০০ থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ প্রকাশিত ও প্রচারিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *