তারিখ ঃ ২৩/০২/১৮ প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার বিকাল ৩টায় শহীদ হাদিস পার্ক, খুলনায় জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ এর দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার বিকাল ৩টায় শহীদ হাদিস পার্ক, খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেঃ জেনাঃ (অবঃ) এম. জাহাঙ্গীর হুসাইন এবং কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম। আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের খুলনা জেলা সভাপতি আবুল হোসেন, যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক মোকতারুল ইসলাম মুক্তি, মাগুরা জেলা আহ্বায়ক সুনীল সরকার প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম. শামীমুল হক। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার অতীতের সরকারগুলোর ন্যায় দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্রাজ্যবাদের পরিকল্পনা ও স্বার্থরক্ষা করে চলেছে। ফলে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের উপর শোষণ-নিপীড়ন-নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল আজ ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে। ভারত কর্তৃক ফারাক্কা বাধের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদ-নদী ভরাট হয়ে শুকনা মৌসুমে জেলাগুলিতে পানির অভাবে মরুময়তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের গত পরপর দুই বছর ভবদহ ও তৎসংলগ্ন এলাকার ব্যাপক অঞ্চলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ওয়াপদা বাধ এ অঞ্চলের ভূমি গঠনের পথে বাধা সৃষ্টি করায় জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। উপরোন্তু সরকার বাগেরহাটের সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছে যা সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে। অথচ মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ৫টি প্রথম অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিন জে অ্যাবে’র বাংলাদেশে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পেলেও ভারত সরকারের আগ্রহে তা ভারতকে দেওয়ার জন্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এখন গঙ্গা ব্যারেজের এই অগ্রাধিকার প্রকল্পটি ভারত বাতিল করার কারণ দেশবাসীর জানতে চায়? মহাজোট সরকার উন্নয়নের সাফাই গেয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ‘মধ্যম আয়ের’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উচ্চ আয়ের’ দেশে পরিণত করার কথা বলে জাতিসংঘের ‘এসডিজি’ (SDG) পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাম্রাজ্যবাদী একচেটিয়া পুঁজি লগ্নি বিনিযোগ করার দ্বার অবারিত করে দেশকে ঋণগ্রস্থ করে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল (EEZ) ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (SEZ) গড়ার লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করে প্রথম পর্যায়ে ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিদেশিদের বরাদ্দ করাসহ ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা ও বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে এতদ্বঞ্চলে মংলা ও ভেড়ামারায় দু’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ভারতকে বরাদ্দ দেওয়ার পরে নির্মাণাধীন রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়ার ভারতীয় দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে। তাছাড়া যশোর জেলা সদর ও ঝিকরগাছায় দু’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর তিন ফসলী জমি নষ্ট না করার বাগাড়াম্বতা এসব প্রকল্পের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হচ্ছে।
সম্প্রতি যশোর রোডের সম্প্রসারণ তথা চার লেনে উন্নীত করার জন্যে রাস্তার পাশের দেড় শত বছরের ঊর্ধ্বে হাজার হাজার গাছ কাটার বিষয়টি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে পত্র-পত্রিকা ও প্রচার মাধ্যমে শত বৎসরের পুরানো গাছ কাটার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে, তা না কেটে চার লেনের রাস্তা করার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করার বিভিন্নমুখী তৎপরতা চলছে। এমনকি আন্দোলনের কর্মসূচির নামে গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন-এর মত শান্তিপূর্ণ পথ অনুসরণ করা হচ্ছে। মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্রতিবেশী ভারত তার মূল ভূ-খণ্ড থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে সরাসরি সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা অবাধ করার লক্ষ্যে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের নামে করিডোর পাওয়ার যে তৎপরতা চালায় তা মহাজোট সরকার মূলত কার্যকরী করে চলে। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উপকূল, সমুদ্র ও নদী বন্দর এবং নদীপথ অবাধ ব্যবহারের বিষয়টি যুক্ত করে অগ্রসর হয়। একই সাথে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ভারতের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত করে নিয়ন্ত্রণ করার মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির নামে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের মূল ভূ-খণ্ডে নেওয়ার জন্যে বিদ্যুৎ করিডোর কার্যকরী করে। ভারতের মূল ভূ-খণ্ড থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সামগ্রিক যোগাযোগের করিডোরের ক্ষেত্রে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও সংলগ্ন উপকূল গুরুত্বপূণ। এ ক্ষেত্রে দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম সড়ক ও রেল যোগাযোগের নাভিকেন্দ্র হিসেবে কলতার-যশোর রোড, কলকাতা-বেনাপোল-ঢাকা রেল যোগাযোগ অতিব গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যে পদ্মাসেতু দিয়ে কলকাতা-ঢাকা চার লেনের সড়ক ও যশোর-ঢাকা রেল লাইন স্থাপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বাত্মক তৎপরতা চলছে। এছাড়া মংলা বন্দরকে সর্বাত্মক ব্যবহার করার জন্যে মংলা থেকে ফুলতলা পর্যন্ত নতুন রেল লাইন স্থাপনের কাজ, খুলনা বিমান বন্দর নির্মাণ, খুলনা মহানগরকে নওয়াপাড়া থেকে মংলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা, ভৈরব নদ খনন ইত্যাদি অবকাঠামো নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে ভারত সরকারের প্রতিনিধি দল সর্বশেষ জরিপ সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশের উল্লেখিত অবকাঠামো প্রস্তুত করার জন্যে ভারত সরকার সর্বাত্মক তৎপর। এ প্রেক্ষিতে ভারতের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ আমলের যোগাযোগ পথ ও রুটকে পুনরায় সক্রিয় ও সর্বাত্মক করার জন্যে ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পূর্বেকার অবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্যে উভয় দেশের সরকার প্রধান একই সুরে কোরাস গেয়েছেন। এভাবে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্যে পণ্য পরিবহন, এমনকি যুদ্ধের সময় ভারতের অখণ্ডতা রক্ষার প্রয়োজনে সামরিক যোগাযোগের বিষয়টি আলোচনায় আসছে।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান আঞ্চলিক শক্তি নয়াউপনিবেশিক-আধাসামন্ততান্ত্রিক ভারতকে তার প্রভু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ চীনের পাল্টা ভারসাম্য হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। এ প্রেক্ষিতে ওবামা আমলের ‘এশিয়া-প্যাসেফিক রণনীতি’তে ভারকে ‘দণ্ডের খিল’ (Linch pin) হিসেবে ব্যবহার করা ও লেমোয়া (LEMOA- Logistic exchange memorandum of agreement) চুক্তির ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন প্রতিরক্ষা নীতিতে ‘ইন্দো-প্যাসেফিক রণনীতি’ এবং মার্কিন-জাপান-অস্ট্রেলিয়া-ভারতকে নিয়ে চতুষ্ঠয় গড়ে তোলার পরিকল্পনা এতদঞ্চলকে কেন্দ্র করে যুদ্ধের বিপদকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। মার্কিনের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতি পুঁজিবাদী চীনও তার সামগ্রিক পরিকল্পনা ‘ওবিওআর’ বা ‘বিআরআই’ বাস্তবায়নে এতদঞ্চলকে কেন্দ্র করে বিসিম ইকোনোমিক করিডোর কার্যকরী করা লক্ষ্যে সর্বাত্মক তৎপর। এ প্রেক্ষিতে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে বিভিন্ন চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও ঘোষণা করে বাংলাদেশে তার অর্থনৈতিক ও সামরিক কর্মকাণ্ডকে অগ্রসর করতে সচেষ্ট। চীনের এই পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ভারতের কারণে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে প্রভুর সাথে সমন্বিত হয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আবার ভারতের যারা প্রতিবেশী চীনেরও তারা প্রতিবেশী। ফলে উভয় দেশের প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে বৃহৎ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসরমান পুঁজিবাদী চীনের সাথে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যুদ্ধের বিপদকে বাড়িয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে চীনের পক্ষ থেকে আসন্ন যুদ্ধের বিপদ এবং তাদের সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করার ঘোষণা এতদঞ্চলের দেশগুলো ও জনগণকে ভাবিয়ে তুলেছে। অতি সম্প্রতি মালদ্বীপের ঘটনাপ্রবাহে ভারত মহাসাগরে চীনের ১১টি যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতি পত্র-পত্রিকা-মিডিয়ায় আলোচিত হচ্ছে। এভাবে আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বে প্রভু সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশকে যুদ্ধের ভরকেন্দ্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সেই লক্ষেই তথাকথিত উন্নয়নের স্টিমরোলার চলছে- এ উন্নয়ন দেশ, জাতি, জনগণের জন্য নয়, আগ্রাসনের।
এই সত্যকে আড়াল করছে সাম্রাজ্যবাদের দালাল প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলো আর তার সাথে দোসরের কাজ করছে সুবিধাবাদী-সংশোধনবাদী বাম নামধারী দলগুলো। মার্কিনের দালাল মহাজোট সরকার পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়ার জন্যে এবং বিএনপি’র নেতৃত্বে ২০দলীয় জোট ক্ষমতা ফিরে পেতে প্রভুর আশীর্বাদ ও দালাল ভারত সরকারের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। মহাজোট সরকার সৌদি আরবের নেতৃত্বে ৩৪টি মুসলিম দেশের সুন্নি জোটভুক্ত হয়ে ক্ষমতাকে সুনিশ্চিত করতে সচেষ্ট। স্বীয় স্বার্থে একই সাথে উগ্র বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করছে। মার্কিন পরিকল্পনায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আগমন ও তা নিয়ন্ত্রণ করে অগ্রসর হওয়ার কৌশলে অগ্রসর হচ্ছে। অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদের দালাল প্রতিক্রিয়াশীল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট জনগণ ও জাতীয় জীবনের জরুরি সমস্যা-সঙ্কট বিষয়ে নির্বিকার। বাম নামধারী সুবিধাবাদী, সংশোধনবাদী ও ট্রটস্কিবাদীরা ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির ঐক্য’র কথা বলে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধিতার নামে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল সরকারের লেজুড়বৃত্তি করে জাতীয় জীবনের জরুরি সমস্যার মূল কারণকে আড়াল করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। উপরন্তু কৌশলে জাতিসংঘের ESCAP পরিকল্পনানুযায়ী সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নের স্বপক্ষে নির্লজ্জ ভূমিকা নিয়ে চলেছে।
নয়াউপনিবেশিক-আধাসামন্ততান্ত্রিক বাংলাদেশ সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের নির্মম শোষণ-লুণ্ঠন-নিপীড়ন-নির্যাতনের মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আজ জনগণের সামনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, শহর-গ্রামের প্রতিটি মানুষের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে অসম্ভব করের বোঝা ও উচ্চ বেকারত্ব। শ্রমিকের নেই ন্যায্য মজুরি, কৃষকের উৎপাদিত দ্রব্যের ন্যায্যমূল্য। নতুন কোন শিল্প কলকারখানা হচ্ছে না। কৃষিভিত্তিক শিল্প বিশেষ করে পাট, কাগজ, রেয়ন শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। চিনি শিল্প বন্ধ হওয়ার পথে। আজ আমাদেরকে একটি আমদানী নির্ভর জাতিতে পরিণত করা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনায় অপরিকল্পিত উন্নয়নের জোয়ারে আমাদের নদ-নদী, খাল-বিল ভরাট হয়ে রূপ নিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতায়। ৩০ হাজার কিলোমিটার জলপথ আজ সঙ্কুচিত হয়ে বর্ষামৌসুমে ৪ হাজার কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ ভারসাম্যহীনতার চরমে পৌঁছেছে। কোথাও খরা কোথাও অকাল বন্যায় ফসলহানি ঘটছে।
কৃষি-শিল্প, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি-শিল্প-সাহিত্য সর্বত্রই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। বাক-ব্যক্তি-প্রকাশনার স্বাধীনতা আজ নেই বললেই চলে। স্বৈরাচার ড্রাকুলার ভয়ংকর রূপ নিয়ে আবির্ভুত। শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। মানুষ এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়। এমতাবস্থায় জনজীবন ও জাতীয় জীবনের জরুরি সমস্যা নিয়ে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের বিরুদ্ধে সকল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রাম আজ সময়ের দাবি। তাই আসুন, জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সফল করার লক্ষ্যে বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলি।
বার্তা প্রেরক
প্রকাশ দত্ত
সহ-সাধারণ সম্পাদক
০১৯-২৪০৪-৮১৩৯