ইসরায়েলের সশস্ত্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে ফিলিস্তিনের ব্যাপক হতাহতে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

Palestine land day-১৭-৫-১৮

তারিখ ঃ  ১৯/০৫/১৮ প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ইসরায়েলের সশস্ত্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে ফিলিস্তিনের ব্যাপক হতাহতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

ইসরায়েলের সশস্ত্র রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে ফিলিস্তিনিদের ৬০ জনের মৃত্যুকে ‘নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ’ আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডাঃ এম.এ করিম ও সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেঃ জেনাঃ (অব) এম. জাহাঙ্গীর হোসাইন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭০ বছর আগে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে এবং তাড়িয়ে দিয়ে যে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা, তার ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনের দিনে ওই বিতাড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদের কর্মসূচির ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তিন সহস্রাধিক আগতসহ ৬০ জনের অধিককে হত্যা করেছে ইসরাইল। ১৯৪৮ সালে ১৫ মে বৃটিশদের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ডে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং অস্ত্রের মুখে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে। এদিনটি স্মরণে ফিলিস্তিনিরা প্রতি বছর ‘নকবা’ দিবস পালন করে। এ প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি স্মরণার্থিদের প্রত্যাবাসনের অধিকার এবং ভূমি দিবস উদযাপনের লক্ষে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করে প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি। ১৯৪৮ সালে যখন ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস. ট্রুম্যান দেশটিকে স্বীকৃতি দিতে সময় নিয়েছিলেন মাত্র ১১ মিনিট। ওই স্বীকৃতিতে উজ্জীবিত হয়ে সদ্য সৃষ্ট ইসরায়েল নিজেদের রক্ষার জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে। ৭০ বছর পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পূর্ব জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে আনায় ইসরায়েলের সগর্ব দম্ভের পাশাপাশি এক ধরনের বিপন্নতাবোধও রয়েছে।

 

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এত দিনের অনুসৃত নীতি ছিল, পূর্ব জেরুজালেমের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে শান্তি সমঝোতায়। কিন্তু সেই নীতি ছুড়ে ফেলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি বলেই দিয়েছেন পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী মেনে নিয়েই ফিলিস্তিনিদের সমঝোতা করতে হবে। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় মধ্যস্থতার আন্তর্জাতিক যে স্বীকৃত উদ্যোগ ‘মিডলইস্ট কোয়ার্টেট’ (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ) নামে পরিচিত, যুক্তরাষ্ট্র তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু এই পক্ষপাতের পর তার সেই ভূমিকার প্রতি আর কোনো আস্থার অবকাশ থাকে না।  নেতৃবৃন্দ বলেন, বস্তুত আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্বের প্রত্যক্ষ স্বীকার ফিলিস্তিনি, কুর্দি, কাশ্মির, রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠি। ফিলিস্তিনিসহ বিশ্বের সকল নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠিকে সকল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বে ব্যাপক জনগণের সমাজতন্ত্রের লক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব ছাড়া মুক্তির বিকল্প কোন পথ নাই।

 

 

বার্তা প্রেরক

প্রকাশ দত্ত

সহ-সাধারণ সম্পাদক

মোবাঃ ০১৯-২৪০৪-৮১৩৯।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *