তারিখ ঃ ০৮/০৬/২০১৮ প্রেসবিজ্ঞপ্তি
সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থ রক্ষাকারী সকল সরকারের বাজেটই জাতীয় ও জনস্বার্থ বিরোধী
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এর সভাপতি ডা. এম এ করিম ও সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম জাহাঙ্গীর হুসাইন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, স্বৈরাচারী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থ রক্ষাকারী সকল সরকারের বাজেটই জাতীয় ও জনস্বার্থ বিরোধী। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ-এর দিকনির্দেশনার ভিত্তিতে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালালদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের দেশের বাজেট প্রণয়ন হয়ে থাকে। তাই এবারের প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট প্রণয়নে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি’র কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। যেখানে ২০০০-২০১৫ সালব্যাপি ‘সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য-এমডিজি’ বাস্তবায়নে ধনি আরো ধনি হয়েছে ও পৃথিবীতে বিলিয়নপতিদের সংখ্যা বেড়েছে। এ সময়ে যুদ্ধ বিগ্রহ বেড়েছে। এখন ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি’ দ্বারা দারিদ্র কমানোর কথা বললেও ট্রিলিয়নপতি হওয়া, দ্রারিদ্র আরো বৃদ্ধি পাওয়া, বাণিজ্যযুদ্ধ জোরদার হওয়া, দ্বিতীয় স্নায়ুযুদ্ধ, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রশ্ন সামনে আসছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কর ও ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা এসেছে। এ সময়ে বিশ্বে দূর্নীতি, ব্যাপক ঋণ ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মালয়েশিয়ায় সরকার পরিবর্তন হয়েছে। দূর্নীতি, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, ব্যাপক ঋণসহ নানা কারণে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে জর্ডানের সরকার পতন হয়েছে। ফলে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নিপুঁজি ও তার দালালপুঁজির শোষণ আরো তীব্র হওয়া এবং ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য আরো বৃদ্ধি পেয়ে সামাজিক অস্থিরতাকে আরো বাড়িয়ে তোলার প্রশ্ন সামনে আসছে। শুধু তাই নয়, বাজেটের আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভ্যাট, ট্যাক্সসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের আওতা ও পরিধি। অন্যদিকে সকল বাজেটেই আমাদের দেশের কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জাতীয় ও জনস্বার্থের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপেক্ষিত থেকে চলেছে। তাই বাজেটে জাতীয় ও জনস্বার্থ রক্ষার পূর্বশর্ত হচ্ছে জাতীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা। একইসাথে নেতৃবৃন্দ ৯ জুন শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাজেট বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার জন্য সংগঠনের নেতা-কর্মিদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বার্তাপ্রেরক
আতিকুল ইসলাম টিটু
সদস্য
কেন্দ্রীয় কমিটি
০১৯১৪৯০৯২৬৩